১৫নং বুড়িশ্চর নদীর তীরবর্তী খোলা প্রসস্ত ভূমিকে চর বলা হয়। প্রাচীনকালে হাটহাজারীর পূর্ব দক্ষিণাংশ হালদা নদী ও কর্ণফুলী নদীর গর্ভে ছিল। পলিমাটি জমে জমে ক্রমশ চরের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত চর এলাকার জনৈক বুড়ী প্রথম বসতি স্থাপন করেছে বলে স্থানটি বুড়িশ্চর নামে পরিচিতি লাভ করে।উক্ত এলাকায় একটি জনশ্রুতি রয়েছে যে, প্রাচীনকালে বাশেঁর বড় বড় ভেলা চট্টগ্রামী ভাষায় বাশের বঅর’’ বিক্রির জন্য জমা করা হতো। বাশেঁর বোঅর থেকে বোঅর চর পড়ে বুড়িশ্চর হয়েছে।বুড়িশ্চর আকবর চোধুরীর দীঘি,আকবর চৌধুরীর মসজিদ,মুসা খার মসজিদ আছে। বুড়িশ্চর একটি মৌজা নিয়েই বুড়িশ্চর ইউনিয়ন গঠিত।১৮৫৪ইং সনে মহাল নং২১৪৪৯ মতে মৌজা বুড়িশ্চর থানে শহর বিদ্যমান ছিল বলে গবেষক আবদুল হক চৌধুরী মনে করেন। শেখ মোহাম্মদ আদম লস্করের বংশধর আমির মোহাম্মদ চৌধুরীর এক দলিল মূলে রাউজান ও হাটহাজারী থানার বুড়িশ্চর গ্রামে মোট একুশ দ্রোন বার কানি এক গন্ডা এক কড়া জমি তাঁর পত্নীশাহ বিবি মজলিশ নামে দান করেছিলেন। মোগল বাদশাহ মোহাম্মদ শাহ (১৭২৭-৬৬) এক সনদ মূলে হাটহাজারীর বুড়িশ্চর গ্রামে মোট একুশ দ্রোন বার কানি এক গন্ডা এক কড়া জমি লাখেরাজ বাহালী প্রদান করেছিলেন। এতে বুঝা যায় বুড়িশ্চর একটি প্রাচীন গ্রাম। বার ভূঁইয়া প্রধান ঈশা খার পুত্র মুসা খান মোঘল বাহিনীর সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে হাটহাজারীর বুড়িশ্চর বসতি স্থাপন করতঃ একটি মসজিদ নির্মান করেন। তাঁর নামের স্মৃতি মুসা খার মসজিদ। মুসা খার চারপুত্র ১ম স্ত্রীর গর্ভে শাহ মুহাম্মদ চৌধুরী,রাজা হোসেন চৌধুরী,ও মহব্বত শাহ চৌধুরী ও ২য় স্ত্রীর গর্ভে কাশেম রাজা চৌধুরী। বুড়িশ্চরের শাহ মুহাম্মদ চৌধুরী মসজিদ, রাজার হাটও রাজা চ্রৌধুরী সড়ক তাঁদের স্মৃতি আজও বিদ্যমান।বুড়িশ্চর ইউনিয়নের মোট লোক সংখ্যা ২০১২৮ জন পুরুষ ১০০২০ জন এবং মহিলা ১০১০৭ জন। এ ইউনিয়নের আয়তন ৩.৮৩ বর্গ কিলোমিটার প্রতি কিলোমিটারে লোকসংখ্যা ৫২৫৫ জন। শিক্ষার হার ৫৭%।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS