ডাকঘরের সেবা
পোষ্ট অফিস থেকে ডেলিভারি না পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় পিওনদের কোনো দোষ থাকে না। তাদেরকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা ঠিক নয়। কেন, তা ব্যাখ্যা করছি। চিঠি/ ডকুমেন্ট ডেলিভারি পাওয়ার জন্য ঠিকানাটি যতদূর সম্ভব ডিটেইলস লেখা উচিত। শহরে হলে রোড নম্বর/ নাম, বাসা নম্বর/ নাম, পোষ্ট কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখতে হবে। একটা উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন কেউ ঢাকার মুগদাপাড়ায় থাকেন। তিনি তার ঠিকানা লিখলেন, (রবিউল হাসান, 167, মুগদাপাড়া, ঢাকা।) প্রথমেই উত্তর মুগদা না দক্ষিণ মুগদা সেটা লেখা হয়নি। এখন অনেক ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট বাসা নম্বরটি হতে পারে বিরাট বড় একটি ফ্ল্যাট বাসা। সেখানে রবিউল হাসান থাকার পরেও কেউ তাকে চিনতে পারছে না বা চেনে না। ঢাকায় এটা হরহামেশাই হয়। পাশের বাসার লোকটির নামও অনেকে জানে না। এক্ষেত্রে পিওন ব্যাটা ঠিকই এসেছিল এবং এই নামে খোঁজ করার পরে পায়নি তাই ফেরত নিয়ে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে পিওন না পাওয়ার কারণ লিখে সেটি রিটার্ন করে দেয়। সুযোগ সন্ধানী পিওনেরা এক্ষেত্রে চিঠিটি নিজের কাছেই কয়েক সপ্তাহ রেখে দেয়। কোনো কোয়ারি বা কমপ্লিন এলে সেটা ঠিকঠাক ডেলিভারি দিয়ে দেয়। তা না হলে ভিতরের জিনিস হাতিয়ে নেয়। এক্ষেত্রে ফ্ল্যাট নম্বর ব্যবহার করা উচিত ছিল। আরো সতর্কতা হিসেবে C/O: (বহুল পরিচিত কোনো ব্যক্তি বা দোকানের নাম ব্যবহার করা যেতে পারত। অথবা হতে পারে ডকুমেন্টটি পিওন ব্যাটা নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটের মেইলবক্সে রেখে গেছে। যেহেতু অধিকাংশ মেইলবক্সে ফ্ল্যাটের অধিকাংশ লোকেরই এক্সেস থাকে তাই অন্য কেউ গায়েব করে দিয়েছে। অথবা পিওনের কাছ থেকে আপনার নাম দিয়ে রেখে দিয়েছে এবং আপনাকে তা দেয়নি। অথবা হতে পারে অভিজ্ঞ কোনো পিওন প্রথম দর্শনেই বুঝে নিল ঠিকানাটি ইনকমপ্লিট। তাই সে সেটা ডেলিভারির জন্য না নিয়ে টেবিলে বসেই রিপোর্ট লিখে রিটার্ন করে দিলো অথবা নিজের কাছে রেখে দিলো পূর্বের মতো সুযোগ সন্ধানের জন্য। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এটা আমরা সবাই জানি সৎ লোক পাওয়া খুব কঠিন। সেই হিসেবে সৎ পিওন বা ডেলিভারি ম্যান পাওয়াও কঠিন। এর মানে এই নয় যে কোনো পিওনই সঠিকভাবে কাজ করে না। এই সকল পিওন/ ডেলিভারি ম্যানরাই কাজ করে। তাই এরা প্রথম দর্শনেই কিছু হাতিয়ে বা গায়েব করে দেয় না। চেষ্টাটুকু অন্তত করে। তারপর বেনিফিশিয়ারি/ প্রাপক পাওয়া না গেলে সুযোগের সন্ধানে থাকে। তাই অভিযোগ করলে হয়ত মনের ঝাল মিটতে পারে কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডকুমেন্ট ফেরত নাও পাওয়া যেতে পারে।
আপনি যদি জানেন আপনার নামে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ চিঠি/ ডকুমেন্ট আসবে এবং সেটি হারালে আপনার অনেক ক্ষতি হবে, তাহলে প্রথম দিন থেকেই আপনার করণীয় :
1. সেন্ডারকে আপনার ডিটেইলস এ্যড্রেস দিন।
2. সেন্ডারকে সবকিছু স্পষ্ট করে লিখতে বলুন।
3. পোষ্ট অফিসে গিয়ে প্রথমেই খুজে বের করুন আপনার এলাকার ডেলিভারি ম্যানকে।
2. তাকে আপনার ডিটেইলে এ্যাড্রেস দিয়ে বলুন আপনার কাছে ঠিক কোথা থেকে কী ধরনের চিঠি আসবে বা এসেছে।
3. প্রয়োজনে তাকে কিছু অগ্রিম বখশিশ দিয়ে রাখুন এবং তার সাথে খুব খুব খুব ভালো ব্যবহার করুন (এছাড়া কিচ্ছু করার নেই, কারণ তার হাতেই এখন আপনার কাজ)।
4. তার মোবাইল নম্বরটি নিয়ে নিন। প্রয়োজনে নিজেরটিও দিয়ে দিন। বলবেন চিঠিটি এলেই নিজেকে আপনাকে ফোন করে জানানোর জন্য।
5. তাকে যতই বখশিশ দিন না কেন এবং তর সাথে যতই ভালো বব্যহার করেন না কেন, তার ফোনের অপেক্ষায় বসে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আপনি নিজেই মাঝে মাঝে তাকে ফোন করে আপনার ডকুমেন্টের খোজ নিন যে সেটা এসেছে কিনা।
6. সেন্ডারের নিকট থেকে শিপিং নম্বর বা রশিদ নম্বরটি নিয়ে নিন।
7. আপনার এলাকার পিওনকে উক্ত নম্বরটি দিয়ে রাখুন। আপনি যদি এই সতর্কতাগুলো অবলম্বন করেন, তাহলে আপনার ডকুমেন্ট গায়েব হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না।
এই কথাগুলো লিখলাম আমার অভিজ্ঞতা থেকে। আমি একটি কুরিয়ার কোম্পানিতে 05 বছর ইনচার্জ হিসেবে চাকরি করার সুবাদে এই পরামর্শগুলো দিলাম।
আশা করি প্রাপকগণ উপকৃত হবেন।
ক। সাধারন চিঠি পত্র গ্রহন, প্রেরন ও বিলি।
খ। রেজি চিঠি পত্র গ্রহন, প্রেরন ও বিলি।
গ। জিইপি চিঠি পত্র গ্রহন, প্রেরন ও বিলি।
ঘ। ই,এম ,এস চিঠি পত্র গ্রহন, প্রেরন ও বিলি।
ঙ। মনি অর্ডার গ্রহন, প্রেরন ও বিলি।
চ। পার্সেল গ্রহন, প্রেরন ও বিলি।
ছ। ভি পি পি গ্রহন, প্রেরন ও বিলি।
জ। পোস্টাল ও নন পোস্টাল স্ট্রাম্প বিক্রয়।
ঞ। ডাক জীবন বীমা।
ট। ডকঘর সঞ্চয় ব্যাংক সঞ্চয় পত্র বিক্রয় ও ভাংগানো।
ঠ। প্রাইজবন্ড ও পোস্টাল অর্ডার বিক্রয় ও ভাংগানো।
ড। ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ান মানি অর্ডার বিলি।
ঢ। ই এম টি এস এবং পোস্টাল ক্যাশ কার্ড জমা, উঠানো এবং বিক্রয়।
আর্থিক সেবা
ক্রঃ নং | ডাক সেবার ধরন | সেবা প্রদানের সময় সীমা। |
০১ | সঞ্চয় হিসাব/মেয়াদি/ সঞ্চয়পত্র | তাৎক্ষনিক ভাবে। |
০২ | সঞ্চয় হিসাব/মেয়াদি/ সঞ্চয় পত্র স্থানামত্মর | অত্র অফিস থেকে অন্য জেলার অফিসে ১০ দিন। |
০৩ | মরনোত্তর দাবী নিষ্পত্তি | আবেদনের তারিখ থেকে ১ মাস। |
০৪ | মেয়াদ পুর্তি সেবা | ঝালকাঠি প্রধান ডাকঘরে সাথে সাথে এবং উপজেলা ও সাব অফিসে ১০ দিনের মধ্যে। |
ডাক জীবন বীমা
ক্রঃ নং | ডাক সেবার ধরন | সেবা প্রদানের সময় সীমা |
০১ | পলিসি গ্রহন | পলিসি গ্রহন প্রক্রিয়া শুরম্নর ১ মাসের মধ্যে বীমা দলিল সরবরাহ |
০২ | হিসাব স্থানামত্মর | ১৫ দিনের মধ্যে। |
০৩ | মরনোত্তর দাবী নিষ্পত্তি | আবেদনের তারিখ থেকে ০৩ মাস। |
০৪ | মেয়াদ পুর্তি সেবা | আবেদনের |